মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১২:১৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মেগা প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত ৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন বাকেরগঞ্জে স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্বের ঘটনায় সাবেক এমপিকে জড়ানোয় বিএনপির উদ্বেগ অপারেশন ডেভিল হান্ট” কলাপাড়ায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৬ কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার টুরিষ্ট ভিসায় জেল খেটে বিদেশ ফেরত মকছুদ।কলাপাড়ায় দুই  প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা কলাপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি’র দলবদল কলাপাড়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্প্রেইড হিউম্যানিটির উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে নিখোঁজের ৫দিন পর লাশ উদ্ধার শ্রমিকদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রাষ্ট্র হচ্ছে দেবী দুর্গার দশ হাতের মতো-ব্যারিস্টার ফুয়াদ বরিশাল গোরস্থান রোডের রাস্তা ও ড্রেনের সংস্করণের দাবিতে মানববন্ধন
গলাচিপায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

গলাচিপায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

Sharing is caring!

মোঃ নাসির উদ্দিন, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) নির্যাতিত গৃহবধূর মা কান্না জড়িত কন্ঠে সঠিক বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘোরার এক পর্যায়ে এ বিষয়ে প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন। এতে নির্যাতিত গৃহবধূ মোসা. সাহিনা বেগম (২৮) বাদী হয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নারী ও শিশু মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৪১০/২০২১, সূত্র- পিটিশন কেস নং- ১০৯/২০২১। গৃহবধূ মোসা. সাহিনা বেগম হচ্ছেন উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড চর কপালবেড়া গ্রামের মো. মোসালেউদ্দিনের মেয়ে। আর স্বামী মো. মনির মাদবর (৩০) হচ্ছেন একই এলাকার আ. খালেক মাদবরের ছেলে। মামলা সূত্রে ও গৃহবধূ মোসা. সাহিনা বেগম জানান, ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক রেজি. কাবিন মূলে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমার গর্ভে ও আমার স্বামী ঔরষে ৩টি সন্তান জন্ম নেয়। আমার মেয়ের নাম লামিয়া (৯), ছেলেদের নাম ইসমাইল (৬) ও বাইজিদ (৩)। বিবাহের পর থেকে আমার স্বামী মো. মনির মাদবর ও শ^শুর বাড়ির লোকজন ব্যবসা করার জন্য ৩ লাখ টাকা মনিরকে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। আমার বাবা বৃদ্ধ মানুষ। সে এত টাকা কীভাবে পাবে এবং যৌতুকের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে আমার উপর নির্যাতন শুরু করে। আমার শ^শুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় এ নিয়ে চাপ দিতে থাকে। তারা প্রায় সময়ই আমাকে বিভিন্নভাবে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। এ বিষয় নিয়ে আমার শ^শুর বাড়ির লোকজন ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখ আমাকে যৌতুকের দাবিতে মারধর শুরু করে। মামলার ২ নম্বর আসামী আমার স্বামীর ভগ্নিপতি ভূট্টো গোয়ালও আমাকে মারধর করে। ভূট্টো গোয়াল আমাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। কিন্তু আমি এতে রাজী না হওয়ায় সে সুযোগ বুঝে আমার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে উত্তেজিত করে এবং সবাই মিলে আমাকে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার স্বামী ভূট্টো গোয়ালের পরামর্শে আমাকে হত্যার জন্য আমার গলা টিপে ধরে। এতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার এই অবস্থার কথা জানতে পেরে আমার বাবা-মা আমাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করে। এখন আমার স্বামী আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না। আমি এখন সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাব। আমি সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে এর সঠিক বিচার চাই এবং আমার স্বামীর ঘরে থাকতে চাই। এ বিষয়ে গৃহবধূর মা মমতাজ বেগম বলেন, আমার স্বামী বৃদ্ধ মানুষ। কাজ করতে পারেন না। মেয়েটারে বিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক চায়। আমরা এত টাকা কীভাবে দিব। এ জন্য ওরা আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলতে চেয়েছে। আমি এর বিচার চাই বাবা। এ বিষয়ে গৃহবধূর বাবা মো. মোসলেউদ্দিন বলেন, আমি ঠিকমত হাঁটাচলা করতে পারি না। আমার জামাই বাড়ির লোকজন ব্যবসা করার জন্য আমার কাছে টাকা চায়। আমি ৩ লাখ টাকা কীভাবে দেব। এ নিয়ে আমার মেয়েটাকে জ্বালা যন্ত্রনা দিত এবং মেরে ফেলতে চেয়েছে। আমার মেয়েটার সুখ আমি কী দেখে যেতে পারব না। আমার মেয়ে মামলা করেছে বলে আমার মেয়েকে ওরা যেকোন সময় একা পেলে মেরে ফেলতে চায়। আর বলে যে আদালত ওদের কিছুই করতে পারবে না। এ বিষয়ে চর কপালবেড়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজনু শিকদার, পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত আমাকে সাহিনা বেগমের মামলার তদন্তভার দেয়। আমি তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছি। তদন্তে ও স্বাক্ষীদের মাধ্যমে মামলার বর্ণনার সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নিজামউদ্দিন মোল্লা বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেকবার বসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দু’পক্ষকে মানাতে পারি নাই। ওরা সাহিনা বেগমকে প্রায়ই মারধর করত। আসলেই ওরা এখন নিরুপায়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD